লেনদেনগুলো খতিয়ানভুক্ত করার পর হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য খতিয়ানসমূহের জের নিয়ে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে। হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য মূলতঃ রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়। এটি কোনো হিসাব নয় বা এটি হিসাবের কোনো অপরিহার্য অংশও নয়। একটি বিবরণী মাত্র।
রেওয়ামিলের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
১. রেওয়ামিল কোনো হিসাব বা হিসাবের অংশ নয়। এটি একটি বিবরণী ।
২. রেওয়ামিলে ডেবিট ও ক্রেডিট দুটি টাকার ঘর থাকে। খতিয়ানের ডেবিট জেরগুলো ডেবিট পাশে ও ক্রেডিট জেরগুলো ক্রেডিট পাশে বসাতে হয়।
৩. এর জন্য কোনো হিসাবের বই ব্যবহার করা হয় না। বরং আলাদা কাগজে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
৪. এটি সাধারণত হিসাবকালের শেষ তারিখে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে ক্সতরি করা হয়।
৫. এ বিবরণীতে সকল হিসাবের জের (আয়, ব্যয়, সম্পত্তি, দায়, মূলধন ও উত্তোলন) থাকে।
৬. রেওয়ামিল হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করতে পারে।
৭. রেওয়ামিল আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সহায়তা করে থাকে।
0 comments for "রেওয়ামিল কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? "