যেসব ভুল হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অসাবধানতার কারণে ঘটে সেসব ভুলকে করণিক ভুল বলে। করণিক ভুলকে আবার নিম্নলিখিত চারভাগে ভাগ করা যেতে পারে
ক. বাদ পড়ার ভুল: যখন কোনো লেনদেন হিসাবের বইতে আদৌ লিপিবদ্ধ করা হয় না কিংবা হিসাবের প্রাথমিক বই জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হলেও খতিয়ানভুক্ত করা হতে বাদ পড়েছে। এধরনের কোনো লেনদেন পুরোপুরিভাবে (খতিয়ানে) হিসাবে লিপিবদ্ধকরণ হতে বাদ যাওয়ার ভুলকে বাদ পড়ার ভুল বলে। এধরনের ভুলের জন্য হিসাবের কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়নি। যার ফলে এধরনের ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়বে না।
খ. লেখার ভুল: কোনো লেনদেন হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধকরণের সময় প্রকৃত অঙ্ক অপেক্ষা কম বা বেশি লেখা হলে তাকে লেখার ভুল বলে। যেমন-জাবেদের নিকট ৫,০০০ টাকার পণ্য ক্রয় লেনদেনটি যদি ক্রয় হিসাবে ৫০০ টাকা ডেবিট ও জাবেদ হিসাবে ৫০০ টাকা ক্রেডিট করা হয় তাহলে রেওয়ামিলে কোনো গড়মিল ধরা পড়বে না ।
গ. পরিপূরক ভুল: যখন একটি ভুলের দ্বারা অপর এক বা একাধিক ভুল পূরণ হয় তাকে পরিপূরক ভুল বলে। যেমন-রহমানের হিসাবে ৫০০ টাকা ডেবিট করার কথা ছিল সেখানে ৫০ টাকা ডেবিট করা হলো। অন্য জায়গায় রহিমের হিসাবে ৫০০ টাকা ক্রেডিট করার কথা সেখানে ভুলে ৫০ টাকা ক্রেডিট করা হয়েছে। ফলে রহমানের হিসাবে ৪৫০ টাকা ডেবিট কম করায় ও রহিমের হিসাবে ৪৫০ টাকা ক্রেডিট কম করায় রেওয়ামিলে কোনো গড়মিল দেখা যাবে না।
ঘ. বে-দাখিলার ভুল: হিসাবের প্রাথমিক বহি জাবেদা হতে খতিয়ানে স্থানান্তর করার সময় ভুলে এক হিসাবের পরিবর্তে অন্য হিসাবকে সঠিক পার্শ্বে লেখা হলে তাকে বে-দাখিলার ভুল বলে। যেমন-জুয়েলের হিসাবের ৫০০ টাকা ডেবিট না করে তার পরিবর্তে আরিফের হিসাবে ৫০০ টাকা ডেবিট করা হলো। এ ধরনের ভুলের ক্ষেত্রেও রেওয়ামিলে কোনো গড়মিল হবে না।
0 comments for " হিসাব বিজ্ঞানের করণিক ভুল সমন্ধে আলোচনা করুন/ রেওয়ামিলে হিসাব বিজ্ঞানের কোন ধরনের ভুল ধরা পড়েনা?"