সঠিকভাবে হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে উপকৃত হয় এবং বহুবিধ সুবিধা ভোগ করে থাকে। নিম্নে হিসাববিজ্ঞানের সুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো
১. কোনো নির্দিষ্ট সময় পরে ব্যবসায়ী হিসাববিজ্ঞানের মাধ্যমে তার কারবারের লাভ-ক্ষতি হিসাব প্রস্তুত করে ব্যবসায়ের লাভ অথবা ক্ষতি নির্ণয় করতে পারে।
২. কারবারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হলে এ মামলায় একমাত্র সুষ্ঠুভাবে রক্ষিত হিসাবের খাতাপত্রই বিচারকের নিকট প্রমাণস্বরূপ উপস্থাপন করা যায়।
৩. কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বা যেকোনো সময় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ আর্থিক অবস্থা অর্থাৎ মোট মূলধন, মোট দেনা, মোট পাওনা, মোট সম্পত্তি ও হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ইত্যাদি জানা যায়।
৪. বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ ও মান ব্যয় হিসাবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হিসাববিজ্ঞান সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা যায় এবং বিভিন্ন রকম চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধ করা যায়।
৬. ভবিষ্যৎ নীতি-নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবসায়ীকে সাহায্য করে থাকে। সঠিকভাবে হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে কারবারের আয়-ব্যয় নির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সহজ হয়।
৭. হিসাব প্রতিবেদন, বাজেট, আয়-ব্যয় বিবরণী ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানে হিসাববিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হিসাববিজ্ঞানের উপর্যুক্ত সুবিধাগুলোর জন্য বর্তমানে ছোট-বড় সকল প্রতিষ্ঠানে হিসাব রাখা একটি অপরিহার্য কাজ হিসেবে পরিগণিত।
0 comments for "হিসাববিজ্ঞানের সুবিধাসমূহ আলোচনা করুন"