অবচয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি উপাদান বা বিষয় বিবেচনা করতে হয়।
১. সম্পত্তির ক্রয়মূল্য:
সম্পত্তির ক্রয়মূল্যের উপর ভিত্তি করে সম্পত্তির অবচয় নির্ধারণ করা হয়। ক্রয়মূল্যকে আনুমানিক আয়ুস্কাল দ্বারা ভাগ করে অবচয় নির্ধারণ করা হয়। তাই সম্পত্তির ক্রয়মূল্য অবচয় নির্ণয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. সম্পত্তির কার্যকরী জীবন:
অবচয় পরিমাপের জন্য সম্পত্তি থেকে কত বছর ধরে সুবিধা ভোগ করা যাবে অর্থাৎ সম্পত্তির কার্যকর আযুস্কাল কত সে সম্পর্কে অনুমান প্রয়োজন। যে সময় ধরে সম্পত্তি থেকে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তাই হলো সম্পত্তির অর্থনৈতিক আয়ুস্কাল। সাধারণত সম্পত্তির অর্থনৈতিক আয়ুস্কাল বস্তুগত আয়ুস্কাল থেকে কম হয়।
সম্পত্তির কার্যকর আয়ুস্কাল সঠিকভাবে নির্ধারণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সম্পত্তি অতীতে ব্যবহার হয়ে থাকলে সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, কারিগরি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সম্পত্তির কার্যকর আয়ুস্কাল সম্পর্কে অনুমান করা হয়।
৩. সম্পত্তির ভগ্নাবশেষ মূল্য:
অনুমিত কার্যকালের শেষে সম্পত্তি বিক্রি করে যে মূল্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়, তাকে ঐ সম্পত্তির ভগ্নাবশেষ মূল্য বলা হয়। এ মূল্যের পরিমাণ যৎসামান্য হলে তাকে শূন্য ধরা হয়। আর যদি পর্যাপ্ত হয়, তাহলে সম্পত্তি ক্রয় বা হারানোর সময় ঐ ভগ্নাবশেষের আনুমানিক মূল্য নির্ণয় করতে হয়। এর থেকে সম্পত্তির কার্যকালের শেষে সেটি অপসারণের সময় সম্ভাব্য অপসারণ সংক্রান্ত খরচ বাদ দিয়ে নিট ভগ্নাবশেষ মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। নিট ভগ্নাবশেষ মূল্যের উপর ভিত্তি করেই অবচয়ের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
0 comments for "অবচয় নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়সমূহ আলোচনা করুন।"